কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ঃ- বাংলার আধ্যাত্মিক চেতনার এক আলোকবর্তিকা, সদা নিরহংকারী ও প্রজ্ঞাবান ইসলামিক চিন্তাবিদ মাওলানা রইস উদ্দিন (রহ.)-এর নির্মম হত্যাকাণ্ড আজ গোটা দেশকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।
এই হৃদয়বিদারক ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে শনিবার (৩ মার্চ) সকালে এক মানববন্ধনের আয়োজন করে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত ঐক্য পরিষদ ও জেলার অগণিত দরবার শরীফের পীর-মাশায়েখগণ।
বৃষ্টিভেজা সকালে পবিত্র ধ্বনিতে মুখরিত হয় শহর — “শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না”, “খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই”। কণ্ঠে ছিল বিষাদের কাঁপন, চোখে ছিল প্রতিরোধের আগুন।
৩৫ বছর বয়সী এই আলেম চাঁদপুর জেলার মতলব থানার সন্তান। গাজীপুর মহানগরের হায়দারাবাদ আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। ধর্মীয় দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার এক সময়ের কেন্দ্রীয় নেতা।
বক্তারা জানান, ২৬ এপ্রিল গাজীপুর থেকে আশেকে রাসূলদের একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশ নিতে ঢাকায় গিয়েছিলেন মাওলানা রইস উদ্দিন (রহ.)। এরপরই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তাঁকে মিথ্যা অপবাদের জালে ফেলে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বক্তব্য রাখেন সিদ্দীকিয়া দরবার শরীফের পীরজাদা মাওলানা শফিকুল ইসলাম সিদ্দীকি, বৌলাই তরফিয়ার পীরজাদা সৈয়দ ইয়াছিন, চকমতি দরবারের মোবাশ্বির হাসান ফয়সালসহ বহু বিশিষ্ট ধর্মীয় নেতা।
তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “সুন্নিরা রক্ত দিয়েছে, আবারও দেবে, কিন্তু সত্যের পতাকা কখনও নামতে দেবে না। দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে সারা দেশে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”
মানববন্ধনে উপস্থিত সকলের কণ্ঠে একটাই দাবি— শহীদ রইস উদ্দিনের রক্ত যেন ন্যায়বিচারের আলোয় ধুয়ে যায়, আর এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের কুশীলবরা পায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।