ঝালকাঠি প্রতিনিধি ঃ- নলছিটি উপজেলার কুশঙ্গল গ্রামের আব্দুল মজিদ হাওলাদার নামে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত এক সদস্যের দু’টি জন্ম তারিখ দিয়ে পৃথক দুটি ভোটার আইডি কার্ড ধরা পড়েছে।
এ দিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আদালতে এবং চাকরীতে জমা দিয়েও সুবিধা ভোগ করছে এমন অভিযোগে ভুক্তভোগী পক্ষ থেকে ২৪ জুন ঝালকাঠি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা (নং ২২২/২৫) দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৫ জুন আদালতের বিচারক তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী কুশঙ্গল গ্রামের হাবিবুর রহমান দ্বৈত ভোটার আইডিধারী সেনা সদস্য মজিদের একটি ভোটার আইডি কার্ড নং ১৯৬২২৬৯৬৪০৬৭২৩১৪৩ জন্ম তারিখ ১৫/৮/১৯৬৭ এবং আরেকটি ভোটার আইডি কার্ড নং ২৬৯৬৪০৬৭২৩১৪৩ জন্ম তারিখ ৩০ জুন ১৯৩৬ দেখানো হয়েছে। ঐ ব্যক্তি চাকুরীসহ বিভিন্ন জায়গায় কর্মকাণ্ডে ওই ২টি ভোটার আইডি কার্ড প্রদর্শন করেন এবং সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। তিনি যে কোন মুক্তিযোদ্ধা নন সে ব্যাপারে কুশঙ্গল ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইউনুস আহম্মেদ ২০২৩ সালে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেন। অত্র মামলায় নলছিটি উপজেলার হালনাগাদ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের গেজেট জমা দেওয়া হয়েছে।
বাদী হাবিবুর রহমান বলেন, আসামি মজিদ ১৯৩৬ সালে জন্মসনদ দেখিয়ে তিনি বরিশাল যুগ্ম জেলা জজ আদালতের দেওয়ানী ৭৪/১৯৫৬ নং মোকদ্দমা ডিক্রী হাসিল করেন। তিনি নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহন করেছেন। তিনি ২০১৫ সালে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে নলছিটি সহকারী কমিশনার ভুমি অফিসে সুবিধা গ্রহনের জন্য লিখিত আবেদন দাখিল করেন। তিনি জমাজমি বিরোধে দ্বৈত ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহার করে বিচারকার্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছেন।
এ ব্যাপারে আইনজীবীরা জানিয়েছেন একই ব্যক্তির ২টি ভোটার আইডি কার্ড প্রমাণিত হলে এক বছর পর্যন্ত সাজার এবং অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।