1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন

আজ বিশ্ব মা দিবস

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১২ মে, ২০২৫
  • ১ বার পড়া হয়েছে

মুসলেহ উদ্দিন (বিএ) কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি ঃ- আজ বিশ্ব মা দিবস , বিশ্বের প্রতি মায়ের জন্য শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা আর ভালবাসা প্রকাশের দিন আজ।

 

প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস পালন করা হয়,যুক্তরাষ্ট্রে সূচনা হলেও বর্তমানে বাংলাদেশসহ প্রায় সারা বিশ্বেই দিবসটি পালিত হয় নানা আয়োজনে।

 

আসলে মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণের প্রয়োজন হয় না,প্রতিটি মায়েরই সন্তানের ভালোবাসা প্রাপ্য প্রতিদিনই।
তবুও দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, নিজের সব স্বাদ-আহ্লাদ সন্তানের নামে করে দেন যে মা, তার সম্মানে আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই আজকের দিনটি।

 

মায়ের সঙ্গে সন্তানের আত্মিক বন্ধন জন্ম-জন্মান্তরের। অটুট এ বন্ধনের প্রগাঢ় আবেগে তাড়িত হয়ে যুগে যুগে রচিত হয়েছে বহু গান, কবিতা গল্প, আর উপন্যাসসৃষ্টি হয়েছে বহু কালজয়ী শিল্পকর্ম।

 

বাংলা সাহিত্যেও মাকে নিয়ে অসংখ্য কবিতা রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মনে পড়া শামসুর রাহমানের কখনো আমার মাক হুমায়ুন আজাদের আমাদের মা ,আল মাহমুদের নোলক কালিদাসের ‘মাতৃভক্তি এমনই কিছু কালজয়ী বন্দনা।

 

পৃথিবীর সকল যুগের সকল ধর্মে মা সম্মান রাখা হয়েছে সবচেয়ে উঁচুতে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, আমি মানুষকে তার মা-বাবার সঙ্গে সদাচরণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা কষ্টের পর কষ্ট ভোগ করে তাকে গর্ভধারণ করে।

তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার শোকরিয়া ও তোমার মা-বাবার শোকরিয়া আদায় করো।’ (সুরা লোকমান আয়াত: ১৪)।

 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষায়( মা) ডাকের শব্দগুলোর মধ্যেও আছে উচ্চারণগত অদ্ভুত এক মিল।

 

সবগুলো শব্দের শুরুই এম অথবা ‘ম’বর্ণটি দিয়ে। জার্মান ভাষায় মাট্টার ওলন্দাজ ভাষায় ময়েদার ইতালিয়ান ভাষায় মাদর চীনা ভাষায় মামা প্রাচীন মিশরীয় ভাষায় মাত সোয়াহিলি ভাষায় ‘মামা’ এবং আফ্রিকান, হিন্দি ও বাংলা ভাষায় মা।

কীভাবে এই সাদৃশ্য ঘটল তা আজও এক বিরাট রহস্ তবে ভাষাবিদ রোমান জ্যাকবসন এর পেছনে যুক্তি দেখিয়েছেন যে, শিশুরা যখন তার মায়ের দুধ পান করে, তখন তারা তাদের মুখভর্তি অবস্থায় কিছু শব্দ করে। সেই শব্দগুলো নাক দিয়ে বের হয় বলে উচ্চারণগুলো অনেকটা ‘ম’-এর মতো শোনা যায়। তাই প্রায় সব ভাষায়ই মা ডাকে ব্যবহৃত শব্দগুলো মা বা এম’ দিয়ে শুরু হয়।

 

মা শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ মম যা পূর্বে ব্যবহৃত শব্দ মাম্মার পরিবর্তিত রূপ। ধারণা করা হয়, ইংরেজি শব্দ মাম্মা এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘মাম্মা’ থেকে। যা ‘স্তন’ বোঝাতে ব্যবহৃত হতো। এই শব্দ থেকে ম্যামেল’ উৎপত্তি।

 

যা কিনা স্তন্যপায়ী প্রাণীর ইংরেজি প্রতিশব্দ। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবস পালনের প্রচলন শুরু হয় আমেরিকান সমাজকর্মী জুলিয়া ওয়ার্ড হোই নামের এক নারীর হাত ধরে। ১৮৭০ সালে আমেরিকার গৃহযুদ্ধের সময় শান্তির প্রত্যাশায় জুলিয়া একটি ঘোষণাপত্র লেখেন।

 

এটি মাদারস ডে প্রোক্লেমেশন নামে পরিচিত ছিল। এ ঘোষণার মধ্যে জুলিয়া রাজনৈতিক স্তরে সমাজ প্রতিষ্ঠায় নারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে স্পষ্ট বক্তব্য রাখেন। এরপর যুদ্ধ শেষে পরিবারহীন অনাথদের সেবায় ও একত্রীকরণে নিয়োজিত হন মার্কিন সমাজকর্মী অ্যান মারিয়া রিভস জার্ভিস ও তার মেয়ে আনা মেরি জার্ভিস।

 

এ সময় তারা জুলিয়া ওয়ার্ড ঘোষিত মা দিবস পালন করতে শুরু করেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে আনা রিভিজ জার্ভিস ১৯০৫ সালের ৫ মে মারা যান। তার মৃত্যুর পর মেয়ে আনা মায়ের স্বপ্ন পূরণে কাজ শুরু করেন।

 

১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার একটি গির্জায় আনা তার মায়ের স্মরণে অনুষ্ঠান করেন। একই বছর মার্কিন কংগ্রেস মা দিবসকে স্বীকৃতি দিয়ে সরকারি ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব নাকচ করে। তবে হার মানেননি আনা। তিনি তার চেষ্টা অব্যাহত রাখেন। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে মা দিবস পালিত হতে থাকে। অবশেষে আনার প্রচেষ্টা সফল হয়। ১৯১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে মা দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন,দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবেও ঘোষণা করা হয়।

 

যুক্তরাষ্ট্রের পরপর বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও মে মাসের দ্বিতীয় রোববার মা দিবস হিসেবে পালিত হতে থাকে।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট