1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে পটুয়াখালী ভার্সিটিতে বিক্ষোভ মিছিল কিশোরগঞ্জ সীমান্ত পৌর কবরস্থান মসজিদের ৫ তলা ভবন নির্মাণের উদ্বোধন মা বাবার মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা পরে সাড়ে তিন বছরে শিশুর মৃত্যু  ছবির ফাঁদে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ভুক্তভোগী গোয়েন্দার জালে আটক গেন্ডারিয়ায় এসএসসি পরীক্ষার ফেল করে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা এশার নামাজ পড়ে বাসায় ফেরা হলো না ব্যবসায়ী সাহেব আলী ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অসুস্থ হয়ে ঢামেকে হাজতির মৃত্যু শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ জাতীয় বার্নে ভর্তি প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার বক্তব্যে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা,পটুয়াখালী ভার্সিটিতে বিক্ষোভ রাজধানীর ফুটপাতে পড়েছিল নবজাতকের মরদেহ

জনবল সংকটে চিকিৎসা পাচ্ছে না রোগীরা

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০২৫
  • ১৩১ বার পড়া হয়েছে

মুসলেহ উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার ঃ- জনবল সংকটে চিকিৎসা পাচ্ছে না রোগীরা রোহিঙ্গা অধ্যুষিত কক্সবাজারের টেকনাফে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে চরম জনবলসংকট।

 

চিকিৎস-নার্সদের অর্ধেকের বেশি পদই খালি। এতে সেবাদান কার্যক্রম চলছে খুঁড়িয়ে,যার কারনে সেবার জন্য রোগীদের ছুটতে হয় জেলা সদরে।

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৩ সালে ৩১ শয্যা নিয়ে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সে অনুযায়ী বর্তমানে ওষুধ ও খাবার বরাদ্দ দেওয়া হলেও বাড়ানো হয়নি জনবল।

 

এখন সেই জনবলেও ঘাটতি চলছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় সেবাদান স্থবির হয়ে পড়েছে। এখানে চিকিৎসকের ২৯টি পদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ১৭টি পদ শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ২৬টি পদও ফাঁকা। বন্ধ রয়েছে রোগীর দুইটি ওয়ার্ড। এমনকি টেকনিশিয়ানের অভাবে অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে মেশিন, আট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরী-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

 

হাসপাতালে চিকিৎসকের স্বল্পতা বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় রুদ্রæ বলেন, ‘নানা সংকটের মধ্যে আমরা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু জনবলের অভাবে সেবা নিতে আসা রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দেওয়া কঠিন হচ্ছে। জনবল না থাকায় ইতি মধ্য রোগীদের দুটি ওর্য়াড বন্ধ রয়েছে। এছাড়া টেকনিশিয়ানের অভাবে অপারেশন থিয়েটার, এক্স-রে মেশিন, আট্রাসনোগ্রাম পরী-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।’

 

তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকায় বর্তমান জনবল দিয়ে হাসপাতালে সেবা দেওয়া অনকে কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকে এ সংকটে পরেছি। আমরা এসব বিষয়ে কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করছি খুব দ্রæত সমস্য সমাধান হবে।’

 

হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, পুরুষ-মহিলা ওর্য়াডের বন্ধ রয়েছে। সেখানে নেই কো কার্যক্রম। এছাড়া সেবা নিতে আসা রোগীরা চিকিৎসার জন্য দাঁড়িয়ে আছেন। অধিকাংশ রোগী উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস, চর্মরোগ ও সর্দি-কাশির সমস্যা নিয়ে এসেছেন। সেবা নিতে এসেছেন প্রসূতি নারীরাও। বিপুলসংখ্যক রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছিলেন।

 

সেবা নিতে আসা টেকনাফের ডেইল পাড়ার বাসিন্দা নুর আলম বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে শ্বাস কষ্টে ভুগছি। সকাল থেকে এসে হাসপাতালে দাড়িয়ে রয়েছি। চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি তাই র্দীঘক্ষন অপেক্ষা করছি। এর আগে এমন কখনো হয়নি। কয়েক মাস ধরে হাসপাতালের অবস্থা খুব নাজুক হয়ে পড়েছে।’

 

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) এনামুল হক বলেন, হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রতিদিন শতাধিকের বেশি রোগী সেবা নিচ্ছেন। তবে জনবল কম থাকায় রোগীরা সেবা পাচ্ছেন না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চর্মরোগ, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রচুর শিশুরোগী আসে। তবে চিকিৎসক ও নার্সের ঘাটতি থাকায় সবাইকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গরিব রোগীরা।

 

কক্সবাজার সিভিল সার্জেন মোহাম্মদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা টেকনাফ  গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। আমরা জনবল সংকটের বিষয়টি বারবার কৃতপক্ষেকে অবহিত করছি। আশা করছি চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি দ্রæত নিরসন হবে। এরপরও আমরা সাধ্য মতো রোগীদের সেবা অব্যাহত রেখেছি।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট