মেডিকেল প্রতিবেদক :- নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহানের নেতৃত্বে আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, নতুন ভবনের প্যাথলজি বিভাগসহ হাসপাতালের বিভিন্ন প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দালালচক্র নির্মূলে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। এসময় নারী ও পুরুষসহ দালাল চক্রের ২১ সদস্যকে আটক করা হয়। এতে বিভিন্ন মেয়াদে বেশ কয়েকজনকে সর্বোচ্চ তিন মাসের জেল ও ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আটককৃতরা হলেন – সুমন (সাজা তিন মাস), সাইদুর রহমান (সাজা এক মাস), শিশির আহমেদ (জরিমানা এক হাজার টাকা), কাউসার (সাজা এক মাস), আরিফ (সাজা ৩ মাস), নজরুল ইসলাম (সাজা এক মাস), সাগর (সাজা ১৬ দিন), রিমন (সাজা ৩ মাস), জয়দেব বর্মন (জরিমানা ১০০০ টাকা), মাহমুদা বেগম (সাজা ৩ দিন), মুনতাহার বেগম (জরিমানা ১০০০টাকা), মমতাজ বেগম (৭ দিনের সাজা), শেফালী আক্তার (৩ দিনের জেল), মোরশেদা বেগম (১০০০ টাকা জরিমানা), শাহিনুর বেগম (এক মাসের জেল), শাহনাজ বেগম (১০০০ টাকা জরিমানা), শিউলি বেগম (১০০০টাকা জরিমানা), শিউলি বেগম (১০০০ টাকা জরিমানা), মর্জিনা বেগম (১০০০টাকা জরিমানা), সাইফুল (৭ দিনের জেল) ও রাজিব (৭ দিনের জেল)।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান বলেন, ‘দালালচক্র নির্মূলে এটি একটি নিয়মিত অভিযান। এখন থেকে এই অভিযান সবসময় চলমান থাকবে। আমরা চাই দালালমুক্ত ঢাকা মেডিকেল। আমাদের এখানে চিকিৎসা নিতে এসে কোনো রোগই যেন প্রতারণার ফাঁদে না পরে এই বিষয়টা লক্ষ্য রেখেই ভবিষ্যতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এ সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান বলেন, ‘আমাদের কাছে দীর্ঘদিন ধরে ঢামেক হাসপাতালের দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের অভিযোগে ছিল। তাই আজ এনএসআই ঢাকা উইং এর তথ্য মতে যৌথবাহিনী সহায়তায় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ থেকে ওই ২১ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। পরে আমরা তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছি।’