1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ০৪:২৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ধান কাটায় যন্ত্রের ব্যবহার,কিশোরগঞ্জে পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা মে দিবস উপলক্ষে কিশোরগঞ্জে বিল্ডিং নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়নের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সাংবাদিকদের সাথে তামাশা শেষ নেই রাষ্ট্রযন্ত্রের:বিএমএসএফ কৃষি খাতের শ্রমিকদের দুরাবস্থার অবসানকল্পে পদক্ষেপ জরুরি:শেখ নাসির উদ্দিন সিলেটে বিআইডব্লিউটিএ’র দুই কোটি টাকার টেন্ডার ৫৭ লাখে নিয়েছে আ. লীগ সিন্ডিকেট পটুয়াখালী ভার্সিটির রিজেন্ট বোর্ডের ৫৫তম সভা অনুষ্ঠিত চট্টগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ২৮ টি ঘর হস্তান্তর করলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেনীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১০ পরিবার পেল প্রধান উপদেষ্টার ঘর উপহার প্রতিবন্ধী মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মুয়াজ্জিন পলাতক কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে:কর্মহীন হচ্ছেন খেটে খাওয়া শ্রমিক

ছোট সেতু,বড় ভোগান্তি,টোলের জালে বিপর্যস্ত কয়রাবাসী

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১৬ বার পড়া হয়েছে

তারিক লিটু,খুলনা প্রতিনিধি ঃ- খুলনার সুন্দরবন উপকূলবর্তী কয়রা উপজেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে শিবসা ও কয়রা সেতুর টোল মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছেন। টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি, হয়রানি এবং দুর্ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা গত ৫ আগস্টের পর টোল আদায় সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেন। তবে কিছুদিন পর তা আবার শুরু হয়।

 

 

সেতুগুলো দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াতকারী অনেকেই জানান, ইজারাদারের নিয়োজিত কর্মীরা প্রায়ই অশোভন আচরণ করেন। যারা মাছ, সবজি বা অন্যান্য পণ্য পরিবহন করেন, তাঁদের কাছ থেকে ১০ টাকার জায়গায় ৩০ টাকা, ৫ টাকার স্থলে ১০ টাকা আদায় করা হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে হেনস্তা, এমনকি মারধরের শিকার হতে হয়।

 

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধীন এই দুটি সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজারো সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই দিনমজুর, কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী। নির্ধারিত টোল ৫ বা ১০ টাকা হলেও বাস্তবে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ বা তিন গুণ। প্রতিবাদ করলে লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়; এমনকি মারধরের ঘটনাও ঘটে। গত বছর এমন এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে টোল আদায়কারীদের বিরুদ্ধে।

 

সেতু দুটি বর্তমানে ইজারায় পরিচালনা করছে একটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান। টোল কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রায়ই অভিযোগ ওঠে দুর্ব্যবহার, অপমানজনক ভাষা ব্যবহার ও অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে। আগামী ৩০ জুন কয়রা সেতুর ইজারার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কয়রাবাসীর আশা, এরপর সেতু দুটি টোলমুক্ত হবে।

 

স্থানীয়দের ভাষ্য, ২০১০ সালে কয়রা ও শিবসা সেতু চালু হওয়ার পর থেকেই সওজ সেতু দুটি ইজারায় দিয়ে আসছে। সর্বশেষ ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত দুই কোটি টাকায় ইজারা দেওয়া হয় মেসার্স আলী আকবর এন্টারপ্রাইজকে। প্রতিষ্ঠানটির মালিক আলী আকবর খুলনা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর এবং মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদক। টোল আদায়ের জন্য ২০–২৫ জনের একটি দল আছে, যাঁদের বিরুদ্ধে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে।

 

দুর্যোগকবলিত এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বলেন, প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড়, জলাবদ্ধতা ও নদীভাঙনে তাঁরা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এর ওপর অতিরিক্ত টোল দিয়ে চলাফেরা করা তাঁদের জন্য কঠিন হয়ে উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও বারবার কর্তৃপক্ষের কাছে এই সমস্যার সমাধান চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন।

 

কয়রা সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ হিরো বলেন, ‘বটিয়াঘাটা ও আশাশুনিতে একই ধরনের সেতুগুলো টোলমুক্ত হলেও কয়রার মতো দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় এখনও টোল আদায় চালু রয়েছে, যা সম্পূর্ণ অমানবিক। আমরা কয়রাবাসী টোলের বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি চাই।’

 

উপকূলীয় কয়রার দরিদ্র মানুষ এখন আশায় তাকিয়ে আছেন কবে তাঁদের চলাচলের পথ থেকে এই অন্যায্য টোলের বোঝা সরে যাবে। তাঁদের প্রত্যাশা, ৩০ জুনের পর সেতু দুটি টোলমুক্ত হবে।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট