নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- সরকারি চাকরি, ভাতা, ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিদেশে কর্মসংস্থান ও নলকূপ পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভনে পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার নদমূলা গ্রামের বহু মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন, এমন অভিযোগে বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আলমগীর হোসেন গাজীর গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টায় ভাণ্ডারিয়া থানার সামনে এলাকাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন। তারা দাবি করেন, অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন নদমূলা গ্রামের বাসিন্দা ও আলী আহমদ গাজীর ছেলে। তিনি বাগেরহাটে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে কর্মরত থাকার সুযোগে সরকারি প্রভাব দেখিয়ে গত দুই বছরে অন্তত ২৫ জনের কাছ থেকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেন।
ভুক্তভোগী মো. মামুন সরদার অভিযোগ করে বলেন, আমার মামাতো ভাইকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে আলমগীর ৫ লাখ টাকা নিয়েছে। পরে টাকা ফেরত চাইলে আমাকে গালাগাল ও মারধর করতে আসে।
একইভাবে, ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, পুলিশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেয়। আজ পর্যন্ত কিছুই হয়নি।
কোহিনুর বেগম বলেন, বয়স্ক ভাতা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে আলমগীর ২ হাজার ৫০০ টাকা নেয়, কিন্তু কোনও ফল মেলেনি।
বক্তারা অভিযোগ করেন, এই অর্থ আত্মসাৎ করে আলমগীর গাজী খুলনা ও বাগেরহাটে দুটি বাড়ি কিনেছেন। এছাড়া, তার বিরুদ্ধে একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগও তোলা হয় মানববন্ধনে। উপস্থিতরা জানান, আলমগীর একাধিক বিয়ে করেছেন এবং এক নারীকে ফুসলিয়ে পালিয়ে নিয়ে গেছেন, যার বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
প্রবাসী ভুক্তভোগী মো. লোকমান হোসেন গাজী বলেন, আমি সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার পর আলমগীর ও তার ছেলেরা আমার বাড়িতে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে এবং পরিবারের সদস্যদের মারধর করে। এমনকি জমি দখলের চেষ্টাও করে।
এ বিষয়ে আলমগীর গাজী জানান, এলাকার একটি চক্র তার ও পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধ থেকেই এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে আলমগীর গাজীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।