1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১২:৩০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
মানিকগঞ্জের শিবালয় রাস্তা বন্ধ করে মসজিদ নির্মানের অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে মগবাজারের হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢামেক জরুরী বিভাগের পুলিশ বক্সের পাশ থেকে অজ্ঞাত দুটি মরদেহ উদ্ধার ঢাকা–পাবনা ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য হাসান মামুনকে “জিয়া সমগ্র” গ্রন্থ উপহার পটুয়াখালী ভার্সিটির, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রিমন, সম্পাদক সাব্বির যৌতুকের হত্যা মামলার আসামি শামীমকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব নিখোঁজ এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহিরা বিনতে মারুফ (পুলি) কে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৪ দখল-দূষণে দুমকির মুরাদিয়া নদী এখন মরা খাল মগবাজার ভর্তা-ভাত হোটেলে খাবার খেয়ে পরিবারের ৩জনেরই মৃত্যু

চিকিৎসার নামে চলছে বাণিজ্য: সুরভী হাসপাতালে আয়না ঘরের ঘটনা

  • প্রকাশিত: বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- এ যেন ছেলের হাতের মোয়া, চাইলেই সবই সম্ভব তার কাছে, চিকিৎসক না হয়েও সে অসহায় রোগীর উপর অস্ত্রোপচার করতে বিন্দু পরিমাণ দ্বিধাবোধ করেন না ফরিদ মিয়া।

 

রাজধানীর ধানমন্ডি আনোয়ার খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ ফরিদ মিয়া। তিনি আনোয়ারা খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি এর আগে (সিএমএইচ) হাসপাতালে ওটির টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপরে ধানমন্ডির আনোয়ারা খান মডার্ন মেডিকেল হাসপাতালে ওটি ইনচার্জ হিসেবে যোগ দেন।

 

ঘটনা সূত্রে জানা যায় আনোয়ারা খান মডার্ন হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী দেখেন এবং অস্ত্র পাচার করেন, তিনি পরিচয় দেন আনোয়ারা খান মডার্ন হাসপাতালের চিকিৎসক। তথ্য নিয়ে জানা যায় ফরিদ মিয়া, বালুঘাট, বিসিবি, ক্যান্টনমেন্ট সুরভী হাসপাতালে রোগীর অস্ত্রপচার করেন। সুরভী হাসপাতাল এ যেন খুঁটি ছাড়া শূন্যের উপর একটি ঘর, এই হাসপাতালে নেই কোন নিবন্ধন, নেই কোন অনুমোদন, মেলেনি হাসপাতালের কোন আপডেট কাগজপত্র ও লাইসেন্স। একটি ফ্লাট বাসার মধ্যে ৪-৫ টা বেড এবং একটি রুমে ওটি, নেই কোন স্টা্লাইজার মেশিন, নেই কোন অটোগ্লাফের মেশিন।

 

সুরভী হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে দেখা মিলল দুইটি সিজার করা রোগী। নেই কোন মেডিকেল অফিসার, নেই কোনো নার্স, নেই কোন ব্রাদার। মনে হল এ যেন শূন্য খাঁচায় দুটি অসহায় পাখি।

সুরভী হাসপাতালের পরিচালিকা রিনা চৌধুরীর কাছে ফরিদ মিয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফরিদ মিয়া আসলে কোন ডাক্তার না তিনি আমার সুরভী হাসপাতালে এসে সিজার করেন, ফরিদ মিয়া এযাবৎ তিন থেকে চারটা সিজার করেছেন।

রিনা চৌধুরীর কাছে আরো জানতে চেয়েছি, মেডিকেল অফিসার, নার্স, ব্রাদার, এবং আপনার হাসপাতালের কোন অনুমোদন, নিবন্ধন, লাইসেন্স ছারা কিভাবে রোগীর সেবা দেন এবং হাসপাতাল টিকিয়ে রেখেছেন। জবাবের রিনা চৌধুরীর জানালেন, রুগীর কোন সমস্যা হলে ডাক্তারকে ফোন দিয়ে চিকিৎসা দেই আমি, এবং আমি ঢাকা মেডিকেল থেকে নার্সিং কমপ্লিট করেছিলাম। তার নার্সিং সার্টিফিকেট দেখতে চাইলে তিনি দেখাতে পারেনি এবং নানা অজুহাত তুলে ধরলেন।

রিনা চৌধুরী আরো জানান ২০১৪ সাল থেকে আমার এই সুরভী হাসপাতাল, এবং এখানে অনেক চিকিৎসক এসে অপারেশন করে যান তার ভিতরে দুজন ডাক্তারের নাম উল্লেখ্য করলেন, ১/ ফরিদ মিয়া ২/ ডাক্তার অনুপমা।

 

সুরভী হাসপাতালে ভর্তি থাকা দুই সিজারিয়ান রোগীকে জিজ্ঞেস করা হলো আপনাদের সিজার কোন ডাক্তার করেছে?

জবাবে দুজন সিজারিয়ান রোগী বললেন কে বা কারা আমাদের সিজার করেছে আমরা কিছুই বলতে পারি না, জানতে চেয়েছিলাম ডাক্তারদের নাম জানেন জবাবে তারা বলেন না।

রোগীরা আরো জানান আমরা দালালের মাধ্যমে এখানে ভর্তি হয়েছি। সুরভী হাসপাতালে চিকিৎসার নামে তারা রোগীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, যে খানে মা এবং শিশুর দুইজনের মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে।পরিবেশের কথা তো একে বলার বাহিরে নোংরা। আমরা আয়না ঘরের কথা শুনেছি, এখন দেখছি আমরা নিজেরাই আয়না ঘরে এসে পড়েছি আছি।

 

আমরা হসপিটালের কর্তৃপক্ষের কাছে কথা বলতে চাইলে রিনা চৌধুরী পরিচালিকা তার সাথে কথা বলতে সক্ষম হই।

তিনি জানান হসপিটালে কোন ডাক্তার নার্স না থাকলেও সেবায় কোন কমতি নেই। আমরা জিজ্ঞেস করলাম তাকে সিজারিয়ানের দুইজন রোগী দেখতে পাচ্ছি এই দুজন রোগীকে জরুরী সেবা প্রয়োজন হলে কে দিবে, উত্তরে আমাদের রিনা চৌধুরী জানান তখন ডাক্তার কে কল করা হবে। আর মূলত নরমাল ডেলিভারি গুলো উনি করিয়ে থাকেন যদিও তার কোন নার্সিং কমপ্লিট সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি মেলেনি হাসপাতালের কোন আপডেট কাগজপত্র লাইসেন্সবিহীন। এবং পরবর্তীতে যখন আমরা জিজ্ঞাসা করলাম যে হাসপাতালটি কার নামে মূলত এই সুরভী কে এখন উনি জানানো উনার মেয়ে সুরভী এমবিবিএস কমপ্লিট করতেছে বিক্রমপুরে কোন এক মেডিকেল কলেজে।

 

তারপর আমরা জানতে চাই এখানে মূলত কয়জন ডাক্তার বসে এবং ডাক্তার দের নাম তাদের ভিজিটিং কার্ড দেখতে চাই সবকিছু গোপন করার উদ্দেশ্যে রিসিপশনাল রনি লুকিয়ে ফেলার চেষ্টা করে তড়িঘড়ি করে, আমরা জানতে পাই এখানে চিকিৎসক আসে অনুপমা নামের একজন গাইনী চিকিৎসক যিনি মিরপুর ১৩ নাম্বার ওজিএসবি প্রাইভেট মেডিকেলে কর্মরত আছেন চিকিৎসক হিসেবে,, আমরা অনুপমাকে জিজ্ঞাসা করলাম আপনি এখানে এসে তাহলে এই ধরনের একটি হাসপাতালে সিজার করে রোগী ফেলে চলে যান এখানেই রোগীদের দেখাশোনা করার মত একজন লোক নেই চিকিৎসক আপনার এরকম একটি হসপিটালে ওটি করার আগে জানাও অবশ্যই জরুরী সেটা আসলেই হাসপাতাল না চিকিৎসার নামে একটা বাণিজ্যের জায়গা,,।

 

ডক্টর অনুপমা প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও কান্নাকাটি করলেও সংবাদ প্রকাশের ভয়ে পরে মোর নেয় যে আমরা যা করছি আমাদের করার নিয়ম আছে।

 

আপনারা আমাদের কিছুই করতে পারবেন না আপনি আমার পরিচিত ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডক্টর জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলেন এসে ওজিএসবি মেডিকেলে।

 

এবার আসুন জানা যাক ডাক্তার না হয়েও ওটি ইনচার্জ ফরিদ কিভাবে একজন চিকিৎসক না হয়েও সিজারিয়ান করে যাচ্ছে অনবরত।

আমরা মূল ঘটনা জানতে চাইলে সুরভী মেডিকেলের পরিচালিকা রিনা চৌধুরীর কাছে আপনার হসপিটালে আনোয়ারা খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হসপিটাল এর ওটি ইনচার্জ ফরিদ কেন সিজার করবে? উনি তো একজন চিকিৎসক নয়। আর এটা কতটুকু বৈধ একজন ডাক্তার না হওয়ার পরেও সে সিজার করে?

 

রিনা চৌধুরী আমাকে জানান কম খরচে সিজার করার জন্য আমরা ফরিদকে আসতে বলি এবং সে চার পাঁচ হাজার টাকায় অপারেশন গুলো করা যায় ফরিদ আসলে।

 

আমরা জানতে চাই সুরভী হাসপাতালের পরিচালিকা রিনা চৌধুরী চিকিৎসক অনুপমা এবং ওটি ইনচার্জ এরা মূলত যা করছে তা কতটুকু গ্রহণযোগ্য? একজন রোগের জীবনের মূল্যায়ন কতটুকু আছে এইসব মানুষদের কাছে বা চিকিৎসকদের কাছে? এদেরকে কি বলা উচিত চিকিৎসক না অপচিকিৎসক?

আমরা চাই অচিরেই এই ধরনের ভুয়া মেডিকেল লাইসেন্সবিহীন হাসপাতালগুলো বন্ধ করে দেয়া হোক একজন চিকিৎসক হয়েও অপচিকিৎসা / চিকিৎসা বাণিজ্য করার জন্য নেয়া হোক তাদের বিরুদ্ধে আইন আনুক ব্যবস্থা। এবং চিকিৎসক না হয়ে একজন ওটি ইনচার্জ আনোয়ারা খান মর্ডান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মত একটি সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানে থেকে বাহিরে করছে কষাইয়ের মত কাজ। ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশন করছে যেখানে জড়িয়ে আছে মা এবং একটি শিশুর জীবন মৃত্যুর প্রশ্ন পর্যন্ত।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট