1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৮:১০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর যৌনাঙ্গ কর্তন গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা ও মেয়ে দগ্ধ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা রিক্সায় যাওয়ার সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু মানিকগঞ্জের শিবালয় রাস্তা বন্ধ করে মসজিদ নির্মানের অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে মগবাজারের হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢামেক জরুরী বিভাগের পুলিশ বক্সের পাশ থেকে অজ্ঞাত দুটি মরদেহ উদ্ধার ঢাকা–পাবনা ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য হাসান মামুনকে “জিয়া সমগ্র” গ্রন্থ উপহার পটুয়াখালী ভার্সিটির, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রিমন, সম্পাদক সাব্বির

মিঠামইনে ভিজিডি চাল বিতরণে দুর্নীতি: ইউপি সচিব ও প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
  • ২০ বার পড়া হয়েছে

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ঃ- কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজর ইউনিয়নে হতদরিদ্র নারীদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিডি (VGD) চাল বিতরণে ঘুষ গ্রহণ ও আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিবের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর আওতায় মামলা হয়েছে।

 

গত ২০ জুন স্থানীয় সমাজসেবী আখিনুর আক্তার থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইউপি সচিব মো. আলমগীর হোসেন ও প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ওসমান হোসেন প্রত্যেক ভিজিডি কার্ডধারীর কাছ থেকে এক হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। যারা টাকা দিতে পারেননি, তাদের চাল দেওয়া হয়নি।

 

একজন ভুক্তভোগী বাসিন্দা হারিছ মিয়া জানান, “ইউপি সচিব বলেছেন—টাকা দিলে চাল পাবে, না দিলে নয়।”
মামলার বাদী আখিনুর আক্তার অভিযোগ করেন, “চাল না দেওয়ার পাশাপাশি তারা প্রতিবাদকারীদের হয়রানি করেছে এবং সরকারের চাল আত্মসাৎ করতে চেয়েছে। সচিব আলমগীর হোসেন দুর্নীতির টাকায় কিশোরগঞ্জ শহরের শোলাকিয়া বনানী মোড়ে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন।”

 

এ বিষয়ে মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার খান মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের বক্তব্য নিতে তাঁর কার্যালয়ে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব বর্তমানে জেল হাজতে থাকায় তাঁদের পক্ষ থেকেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

অভিযোগ রয়েছে, সচিব আলমগীর হোসেন পরিষদের বিভিন্ন সেবা—যেমন জন্মনিবন্ধন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা প্রাপ্তিতে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে গরীব সেবাপ্রার্থীদের পরিষদের ভেতরে অপমান ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়। কেউ প্রতিবাদ করলে মারধর ও মামলা দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানায় এলাকাবাসী।

 

স্থানীয় সমাজসেবক মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, “এই সচিব ও প্যানেল চেয়ারম্যানের অত্যাচারে আমরা এলাকাবাসী অত্যন্ত ভীত। প্রতিদিন ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে জীবনযাপন করছি। তাদের প্রভাবের কারণে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।”

 

এদিকে, ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য সাজু বেগমের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে। আরশি বেগম নামের এক ভুক্তভোগী জানান, “ভিজিডি চাল পাওয়ার জন্য আমার কাছে ১,০০০ টাকা দাবি করেন সাজু বেগম। আমার ভোটার আইডি কার্ড চেয়েছেন এবং বারবার বাড়িতে এসে টাকা চেয়েছেন। আমি গরীব মানুষ, টাকা না দিতে পারায় আমাকে চাল দেওয়া হয়নি।”

এক সপ্তাহ পার হলেও এলাকায় উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসীর দাবি—দুর্নীতিতে জড়িত সকল ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট