1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর যৌনাঙ্গ কর্তন গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা ও মেয়ে দগ্ধ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা রিক্সায় যাওয়ার সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু মানিকগঞ্জের শিবালয় রাস্তা বন্ধ করে মসজিদ নির্মানের অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে মগবাজারের হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢামেক জরুরী বিভাগের পুলিশ বক্সের পাশ থেকে অজ্ঞাত দুটি মরদেহ উদ্ধার ঢাকা–পাবনা ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নির্বাহী সদস্য হাসান মামুনকে “জিয়া সমগ্র” গ্রন্থ উপহার পটুয়াখালী ভার্সিটির, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রিমন, সম্পাদক সাব্বির

দৈনন্দিন জরুরী সেবাদান কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছি:ইশরাক

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ঃ- নগর ভবনে ইশরাক পন্থী দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ জরুরি বিভাগে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন আসেন আহতদের শারীরিক অবস্থা খোঁজখবর নেন তিনি।

 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ঢামেকে আসেন ও ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল ত্যাগ করেন।

 

সাংবাদিকদের ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন জানান,গত দুই দিন ধরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনসহ সকল আঞ্চলিক কার্যালয়ে জনগণের সেবাদান কার্যক্রম পুরোদমে চালু হয়েছে।দীর্ঘদিনের আন্দোলনের কারণে যে স্থবিরতা বিরাজমান ছিল,তা আমরা দৃঢ় মনোবল, সাংগঠনিক ঐক্য এবং জনতার সহযোগিতায় কাটিয়ে উঠেছি।প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে আমরা জনগণের দৈনন্দিন ও জরুরী সেবাদান কার্যক্রম পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছি, যার ফলে নগরবাসীর মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

 

কিন্তু এই শান্তিপূর্ণ অগ্রগতিকে ব্যাহত করতেই আজ একটি সুপরিকল্পিত, কাপুরুষোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। নগর ভবনে বহিরাগত ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে একটি নির্মম হামলা চালানো হয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল আমাদের আন্দোলনের অগ্রভাগে থাকা পরিচিত নেতাকর্মীদের হত্যা করা।এই বর্বরোচিত হামলায় তিনজনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে ও ঢামেকে আরো দশ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

 

তিনি আরো জানান, হামলাকারীদের হাতে স্ক্রু ড্রাইভার, হাতুড়ি,দেশীয় অস্ত্র এমনকি একজনের কোমরে পিস্তলও দেখা গেছে। একজন নেতাকর্মীকে ছুরি দিয়ে ফুসফুসে আঘাত করা হয়েছে,অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই হামলা ছিল এক ঢিলে দুই পাখি মারার অপচেষ্টা—প্রথমত, আমার নাম ব্যবহার করে আন্দোলনের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে এটিকে বিএনপির গ্রুপিং হিসেবে প্রমাণ করার ঘৃণ্য অপচেষ্টা; দ্বিতীয়ত,জনগণের স্বস্তিতে সেবা গ্রহণে বিঘ্ন ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেওয়া।

 

আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই এই সন্ত্রাসী হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন সিটি কর্পোরেশনে কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া রুবেল/ কর্মচারী আরিফুজ্জামান প্রিন্স।তারা বিগতআওয়ামী সরকারের মেয়র সাঈদ খোকন ও মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে নানাভাবে সুবিধা আদায় করেছেন ও তাদের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে শতাধিক অস্ত্রধারী বহিরাগত মুখোশধারী সন্ত্রাসী নগর ভবনে প্রবেশ করে এই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে।

 

আমরা জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি, এই হামলার পূর্ণাঙ্গ, নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে। নগর ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিও এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মোবাইল ফুটেজ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের চিহ্নিত ও দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যতক্ষণ না এই অপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হয়, আমরা আন্দোলন থেকে একচুলও পিছাবো না।

 

এই হামলা শুধু আমাদের আন্দোলনের ওপর নয়, এটি সরাসরি গণতন্ত্রের ওপর, জনগণের অধিকার রক্ষার সংগ্রামের ওপর আঘাত। আমরা বিশ্বাস করি, এই হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশের নিরপেক্ষ নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতকে বিপন্ন করার একটি গভীর ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।

 

আমি নগরবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই—আপনারা নির্ভয়ে নগর ভবনে আসুন। আপনাদের সেবা নিশ্চিত করা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং নৈতিক কর্তব্য। ট্যাক্সদাতাদের অর্থেই এই কর্মচারীরা আপনাদের সেবা দিতে বাধ্য, এটি কোনো দয়া নয়। আপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা যেমন রয়েছি, তেমনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও নিয়োজিত আছেন।

 

বর্তমানে দেশে ‘মব কালচার’-এর এক ভয়াবহ ধারা শুরু হয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দিয়ে যখন-তখন হামলা চালিয়ে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে। এই সহিংস সংস্কৃতি থেকে বাংলাদেশকে বের করে এনে একটি স্থিতিশীল, নিরাপদ রাষ্ট্রে পরিণত করাই আমাদের সবার দায়িত্ব।

 

আমরা বহুদিন ধরে সহনশীলতার সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা কখনো ব্যক্তিগত আক্রমণ করিনি, বরং সরকারের অব্যাহত সংবিধান লঙ্ঘন, আদালতের অবমাননা ও জনগণের প্রতি দায়িত্বহীন আচরণ বারবার ধৈর্যের সঙ্গে মোকাবিলা করেছি। কিন্তু আজকের এই সন্ত্রাসী হামলা আমাদের বাধ্য করছে, সত্যটা প্রকাশ করতে।

 

আমরা বিশ্বস্ত সূত্রে জেনেছি—গোলাম কিবরিয়া রুবেল স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার গাড়ি ব্যবহার করতেন। তিনি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশল বিভাগে থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, টেন্ডার ভাগাভাগির মাধ্যমে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়েছেন এবং সেই অবৈধ সুবিধা ধরে রাখতেই ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন’-এর নামে আজকের এই হামলার নেতৃত্ব দিয়েছেন। এই ষড়যন্ত্র ও যোগসাজশ আজকের ঘটনায় সম্পূর্ণভাবে উন্মোচিত হয়েছে।

 

আমাদের একমাত্র দাবি—এই সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে জড়িত সকল ষড়যন্ত্রকারী, বিশেষ করে গোলাম কিবরিয়া রুবেল ও আরিফুজ্জামান প্রিন্সসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট