1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দুমকি উপজেলার মুরাদিয়াতে ছেলের হাতে মা লাঞ্চিত জুলাই শহীদদের স্মরণে কিশোরগঞ্জে জামায়াতের দোয়া মাহফিল পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর যৌনাঙ্গ কর্তন গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে মা ও মেয়ে দগ্ধ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এক শিক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা রিক্সায় যাওয়ার সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু মানিকগঞ্জের শিবালয় রাস্তা বন্ধ করে মসজিদ নির্মানের অভিযোগ কমিটির বিরুদ্ধে মগবাজারের হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢামেক জরুরী বিভাগের পুলিশ বক্সের পাশ থেকে অজ্ঞাত দুটি মরদেহ উদ্ধার ঢাকা–পাবনা ট্রেন সার্ভিস চালুর দাবিতে আন্দোলনের ঘোষণা শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের

পাঁচ বছরেও হয়নি রাস্তা:আম্ফানে বিলীন সড়ক এখনো সাঁকোই ভরসা

  • প্রকাশিত: রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

তারিক লিটু,কয়রা (খুলনা) ঃ-  খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের পশ্চিম হাজতখালী গ্রামের মানুষ এখনও স্বপ্ন দেখেন একটি পাকা রাস্তার। অথচ সেই স্বপ্নটা ছিল একেবারে স্বাভাবিক নাগরিক অধিকার। কিন্তু পাঁচ বছর আগে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে বিধ্বস্ত হওয়া গ্রামের একমাত্র সড়কটি আজও মেরামত হয়নি। স্থানীয়দের জীবন এখনো বাঁশের সাঁকোর ওপর ঝুঁকির দোলনায় দুলছে।

 

 

পশ্চিম হাজতখালী গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে দেওয়ানখালি খাল। ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবে নদীভাঙনে বিলীন হয়ে যায় গ্রামের একমাত্র মাটির রাস্তা। সেই রাস্তা দিয়েই এক সময় শত শত মানুষ স্কুল, বাজার, মন্দিরসহ নানান প্রয়োজনে যাতায়াত করতেন। এখন ওই রাস্তার স্থানে কেবল খাল আর একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো।

 

এলাকাবাসী জানান, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। তখন কোমরে পানি দিয়ে চলতে হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা স্কুলে যাওয়ার পথে প্রায়ই পড়ে যায় পানিতে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি উপাসনালয়—দুর্গা মন্দির ও হরি মন্দির—এই রাস্তার পাশেই। ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা পূজার সময় সাঁকো দিয়ে চলাচল আরও কঠিন হয়ে পড়ে।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আম্ফানের পরপরই স্থানীয় সরকার থেকে সাময়িকভাবে বাঁশের সাঁকো করে দেওয়া হয়েছিল। আমরা বহুবার উপর মহলে জানিয়েছি, লিখিত আবেদন করেছি, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো স্থায়ী সমাধান হয়নি।”

 

সড়কটি নির্মিত হলে উপকার পাবে পশ্চিম হাজতখালী গ্রামের হাজারো মানুষ। শুধু স্কুলছাত্র আর পূজারী নয়, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আনতে গিয়ে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কৃষক, দিনমজুর ও গৃহিণীদের।

 

পশ্চিম হাজতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “প্রতিদিন শিশুরা ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসে। অনেক সময় পা ফসকে পড়ে যায়। এতে পড়াশোনায় অনীহা বাড়ছে। তাছাড়া অভিভাবকরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পান।”

 

স্থানীয়দের বক্তব্য, নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তারা মনে করেন, তাদের এলাকার অবহেলা দীর্ঘদিনের। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ বা উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ জরুরি বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট