স্টাফ রিপোর্টার ঃ-মানিকগঞ্জে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন জেলা প্রশাসক ড.মনোয়ার হোসেন মোল্লা।
বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে সরকারি চাকরি সোনার হরিণ। ফ্যাসিবাদী আ’লীগ সরকারের সময় সরকারি চাকরি পেতে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্যসহ অসৎ পন্থায় চাকরি হত। যেখানে যোগ্যতার মূল্যয়ন ছিল অর্থের পাল্লায়। গত ৫ তারিখে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পরে প্রশাসন যে প্রভাব মুক্ত এটাই প্রমান হলো। মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জনবল নিয়োগের স্বচ্ছতায়
মাত্র ১১২ টাকায় অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী, পরিচ্ছন্নকর্মী ও সহকারী বাবুর্চি পদে ২২জন চাকুরি পেলেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে জনবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মাত্র ১২ টাকার দিয়ে অনলাইনে মাধ্যমে ৩ হাজার ৬৮৩টি আবেদন জমা পড়ে। এরমধ্যে গত ১৬ মে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় ১ হাজার ৮৯৭জন অংশগ্রহণ করে। পরদিন ১৭ মে অনুষ্ঠিত মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষার মাধ্যমে লিখিত পরীক্ষায় উর্ত্তীণ ১১৭জন প্রার্থীদের দক্ষতা যাচাই বাচাই করে চূড়ান্তভাবে অফিস সহায়ক পদে ৯জন, নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৮জন, পরিচ্ছন্নকর্মী পদে ৪জন ও সহকারী বাবুর্চি পদে ১জনসহ মোট ২২জনকে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়।
অফিস সহায়ক জুলহাস বিশ্বাস জানান, ডিসি অফিসের ফেসবুক পেজে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেখে অনলাইনের মাধ্যমে ১১২ টাকা দিয়ে আবেদন করি। এরপর লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ শতভাগ মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে অফিস সহায়ক পদে নির্বাচিত হই। কোন ধরনের তদবির ছাড়াই সরকারি চাকরি পাওয়ার এক উদাহরণ হয়ে থাকলাম।
জেলা প্রশাসক ডক্টর মানোয়ার হোসেন মোল্লা জানান, মেধা ও যোগ্যতার মাধ্যমে শতভাগ স্বচ্ছতার মধ্যদিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার কার্যক্রম সস্পূর্ণ হয়েছে। এধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে এবং প্রশাসনের প্রতি মানুষের আস্থাও বাড়বে। মাত্র ১১২ টাকায় আবেদনের মাধ্যমে প্রভাবমুক্ত, তদবির ছাড়া ও শতভাগ স্বচ্ছতার মাধ্যমে নিজস্ব যোগ্যতার মাধ্যমে ২২জন যুবক চাকুরি পেয়েছে।