কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ঃ- কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকরা জিংক সমৃদ্ধ ধান চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। বিশেষ করে স্বাস্থ্য উপকারিতা এবং বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা এই ধান চাষে ঝুঁকছেন। কৃষি কর্মকর্তারাও বলছেন, এই ধান চাষ কৃষকদের আর্থিক উন্নয়নের পাশাপাশি পুষ্টির ঘাটতি পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে কৃষকরা ব্রি ধান-৭৪, ব্রি ধান-৬২, ব্রি ধান-৮৪ ও নতুন জাত ব্রি ধান-১০০ সহ উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষ করেছেন। এ জাতের ধানগুলোতে জিংকের পরিমাণ বেশি, যা মানবদেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়ক। বিশেষ করে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্যের জন্য জিংক একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদান।
হোসেনপুর উপজেলার চর এলাকা ও পার্শ্ববর্তী জমিগুলোতে এসব ধানের ভালো ফলন দেখা যাচ্ছে। স্থানীয় কৃষক মো. আবদুল কুদ্দুস জানান, “গত বছরের তুলনায় এবার জিংক ধানে ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে, ফলে খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ হচ্ছে।”
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এই ধানগুলো রোগবালাই প্রতিরোধে সক্ষম এবং সাধারণ ধানের তুলনায় অধিক পুষ্টিগুণসম্পন্ন। এসব ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ, বীজ ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
হোসেনপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, “আমরা কৃষকদের জিংকসমৃদ্ধ ধান চাষে উৎসাহ দিচ্ছি। এটি পুষ্টি নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ। ভবিষ্যতে এই চাষ আরও সম্প্রসারিত হলে খাদ্য নিরাপত্তা এবং আর্থিক উন্নয়ন দুই-ই সম্ভব হবে।”
স্থানীয় কৃষকরা আশা করছেন, সরকার আরও সহায়তা দিলে ও প্রণোদনা বৃদ্ধি করলে জিংক সমৃদ্ধ ধানের চাষ আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। এতে দেশের পুষ্টিহীনতা নিরসনে বড় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।