1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
হাজারী গলী মহল্লা কমিটির উদ্যোগে ইফতার পার্টি সম্পন্ন ঢাকা ঐতিহ্যবাহী যুব ফাউন্ডেশনের দোয়া ও ইফতার মাহফিল মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পৃথক ঘটনায় চার কিশোরী ধর্ষণের শিকার শাহজাদপুর ৭জন সাংবাদিকের উপর হামলা, ১জন হাসপাতালে ভর্তি নাটোরে বিএসটিআইয়ের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে মামলা ও জরিমানা বেকার শিক্ষিত যুবকরা নিজ উদ্যোগী বীজ আলু উৎপাদনে চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে নীলফামারীতে নারী সাংবাদিক সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার বলে অভিযোগ পল্লবীতে নর্থ বেঙ্গল জার্নালিস্ট ফোরামের ইফতার মাহফিল বিয়ের নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে অর্ধ কোটি টাকা

মসজিদে সরকারি বেতন-ভাতা দেশের দাঙ্গা ও ভবিষ্যত গণহত্যাকে উস্কানির চক্রান্ত

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক :- সারা দেশে অনার্স মাষ্টার্স খুলে উ্চ্চ শিক্ষার বারোটা বাজানোর মত মসজিদের ঈমাম মোয়াজ্জিন ও খাদেমদেরকে বেতন ভাতা দিয়ে ডক্টর ইউনুস সরকার বাংলাদেশে মসজিদ ভিত্তিক খুনাখুনী চালু করে ধর্মের বারোটা বাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

 

এভাবে নাকি দেশের সাড়ে তিন লক্ষ মসজিদের সতের লক্ষ ব্যক্তিকে টাকা প্রদান করবে। যা কিনা দেশের প্রতিটি মসজিদ ক্যাম্পাসকে সৌদি আরবের আবুল খায়ের মসজিদে পরিনত করবে। মসজিদের পার্শ্ববর্তী জমিগুলো মসজিদের প্রয়োজনীয় দাবী করে যুগের পর যুগ ধরে মসজিদ দখল করে নিয়ে যাবে। আর এই ধরনের দখলদারিত্বের জন্য মসজিদ ভিত্তিক ক্যাম্পাসে চলবে খুনের হোলি খেলা ও রক্তবন্যা।

 

এই খুনের হোলি খেলা ও রক্ত বন্যায় নিয়োজিত থাকবে মসজিদের ঈমাম মোয়াজ্জিন খাদেম ও তাদের দলবল। যার নেপথ্য ভূমিকা পালন করবে ডক্টর ইউনুসের সরকারের দেওয়া ঈমামী ভাতা, মোয়াজ্জেনি ভাতা ও খাদেমী ভাতা। কারন বর্তমানে বাংলাদেশের বহু পারিবারিক সহিংসতায় নিয়োজিত আছে মধ্যপ্রাচ্যে উপার্জিত অর্থ। যেই অর্থ বাংলাদেশে ভাই ভাইকে খুন করে, ভাই বোনকে খুন করে, পিতা পুত্রকে খুন করে, ভাতিজা চাচাকে খুন করে, স্বামী স্ত্রীকে খুন করে। মধ্যপ্রাচ্যের উপার্জিত ঐ টাকাগুলো না থাকলে ঐ জাতীয় খুনাখুনিগুলো করতে পারতো না।

 

ঠিক তেমনীভাবে মসজিদে সরকারের দেওয়া ঈমামী ভাতা, মোয়াজ্জেনি ভাতা ও খাদেমী ভাতা প্রদান না করলে মসজিদ ভিত্তিক ইসলামী ব্যবস্থাপনার খুনগুলো হতে পারবে না। কেননা মসজিদ ভিত্তিক ইসলামী ব্যবস্থাপনার খুনগুলো মসজিদের ঈমাম মোয়াজ্জিন খাদেম ও তাদের দলবলের লোকজনেরা করে থাকে ও করিয়ে থাকে। এই ধরনের খুনের রেওয়াজ হযরত মোহাম্মদের সাাহাবী হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যকার সিফ্ফিনের যুদ্ধের আমল থেকেই হয়ে আসছে।

 

আবার সেই যুদ্ধের মাধ্যমের খুনের রেশ বেয়ে হযরত আলী (রাঃ) এর পুত্র হোসেন ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর পুত্র ইয়াজিদের মধ্যকার কারবালার যুদ্ধে অনেক খুন হয়েছে। বাংলাদেশের মসজিদে ডক্টর ইউনুসের সরকারের দেওয়া ঈমামী ভাতা, মোয়াজ্জেনি ভাতা ও খাদেমী ভাতা দেশের প্রত্যেকটি মসজিদকে ও তার ক্যাম্পাসকে কারবালার খুনের ক্যাম্পাসে পরিনত করবে। যা ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের বৃহত্তর তাবলীগ জামায়াতের দুই গ্রুপের মধ্যেই দেখা গিয়েছে। ধর্ম বাংলাদেশের সংবিধানের একটি নিরপেক্ষ উপাদান বা বহুত্ববাদের উপাদান। এতে সরকারি বেতন ভাতা প্রদান দেশের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গাকে উস্কে দিবে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ইসলামী উত্তেজনার কারনে বাংলাদেশে বাংলাদেশের বিখ্যাত ডাক্তার তসলিমা নাসরিনের নিরাপত্তা নাই। জাতির জনকের কন্যার নিরাপত্তা নাই।

 

 

দেশের প্রায় সাড়ে তিন লাখ মসজিদের ১৭ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিনকে সম্মানী ভাতা দেওয়ার অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান নিজেই রাষ্ট্রকে কোন কর (রাজস্ব) প্রদান করে না। তাঁরা (ইমাম-মুয়াজ্জিন-খাদেম) নিয়মিত বেতন-ভাতা পাওয়ার পাশাপাশি সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী পাওয়াতো দূরের কথা তাদেরকে এই কর্মসূচির আওতায় রাখার সরকারেরই এই দেশে নিরাপত্তা নাই।

 

তাই ধর্মীয় রীতিনীতিকে পূতপবিত্র রাখার জন্য এহেন সরকারী দুষ্কর্মের সিদ্ধান্ত দেশের সকল নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে হুমকির মুখে নিক্ষেপ করবে। এমনকি এই ধরনের অর্থ প্রদানের ভিতর দেশের অভ্যন্তরে ভবিষ্যত গনহত্যার দূর্ঘন্ধ রয়েছে। ছবিতে— ভোলা জেলার চরফ্যাসনে ও দেশের বিভিন্নত্র মসজিদে মসজিদে খুনাখুনী করার জেহাদি উপাদান।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট