1. bushrasahittyabd@gmail.com : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন : বুশরা সাহিত্য ম্যাগাজিন
  2. info@www.pratidineralo.live : প্রতিদিনের আলো :
সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ০৫:১৭ অপরাহ্ন

আউটসোর্সিং কোম্পানির মেয়াদ বাড়াতে ওসমানীর তিনজনের দৌড়ঝাঁপ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ- সিলেট ওসমানীতে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগে জন্য সাউদিয়া সিকিউরিটি সার্ভিস নামের কোম্পানী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে টেন্ডার হাতিয়ে নেয়। আর এই কোম্পানিকে মাত্র ছয় মাসের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

আগামী জুন মাসে তাদের মেয়াদ শেষ। কিন্তু মেয়াদ বৃদ্ধি করার জন্য ইতিমধ্যে দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন কোম্পানির নেপথ্যে থাকা হাসপাতালের সরকারি দুই ওয়ার্ড মাস্টার ও এক ব্রাদার। তারা হলেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার দেলোয়ার ও তাহার সহযোগী আরেক ওয়ার্ড মাস্টার সাইফুল মালেক খান এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স অরবিন্দু চন্দ্র দাস।

সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের যোগ সাজসে আউটসোর্সিং জনবলের জন্য দায়িত্ব পায় অখ্যাত কোম্পানী সাউদিয়া সিকিউরিটি সার্ভিস। তারা দায়িত্ব হাতে নিয়েই শুরু করে নিয়োগ বাণিজ্য। এই কোম্পানী মনোনীত হবার পর থেকে বিভিন্ন পদে সিভি আহবান করা শুরু হয়। একই সাথে প্রতিটি পদের বিপরীতে (পদভেদে) ১ লাখ টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত চাকুরী প্রার্থীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়। ২৬২ জনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও টাকার বিনিময় ৩২৫ জন লোক নেওয়া হয়েছে। ২৬২ জনের অধিক লোক বিনা বেতনে চাকরি করছেন। এরা শুধু রোগীদের জিম্মি করে টাকা আদায় ও ঔষধ চুরি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর স্টাফদের সহযোগিতা করছেন দুই ওয়ার্ড মাস্টার।

 

অভিযোগ রয়েছে- হরিজন সম্প্রদায়ের ৫০ জনকে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কর্মীর কাজে নিয়োগ করেন তৎকালীন পরিচালক। কিন্তু সাউদিয়া সিকিউরিটি সার্ভিস এই ৫০ জনকে চাকরি থেকে বের করে দিয়েছে। হরিজন সম্প্রদায়ের লোকদের জনপ্রতি ১ লাখ টাকা করে দেওয়ার জন্য বলেন।  তারা এই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। যারফলে তাদেরকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। একাধিক দপ্তরের অভিযোগ দায়ের করেছেন সিলেট জেলা হরিজন সম্প্রদায়ের সহ-সভাপতি পান্নু লাল। কিন্তু কোন সুরাহা হচ্ছে না। বিধায় তিনি আদালতে মামলা দায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

 

হাসপাতালের এই স্টাফদের মাধ্যমে একটি সিন্ডিকেট তৈরি সেই সিন্ডিকেটের দ্বারা এই টেন্ডার তাদের কবজায় নিয়েছেন। এই সিন্ডিকেটের প্রধান হলেন স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রকিব বাবলুর ছোট ভাই যুবলীগ নেতা আব্দুল খালিক লাবলু। তিনি নেপথ্যে থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলা শ্রমিক দল নেতা রুবেল আহমদ রানা ও সামছু মিয়াকে দিয়ে এই কোম্পানি পরিচালনা করাচ্ছেন।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্টাফের আলাপকালে তারা বলেন, কোম্পানীর সাবেক স্টাফ রুবেল ও সামছু নতুন স্টাফদের কাছ থেকে দেড় লাখ ও পুরাতন স্টাফদের কাছ থেকে ১ লাখ নিয়েছেন। যারা টাকা দিচ্ছেন তাদের সিভি নিয়ে ওয়ার্ড মাস্টার দেলোয়ারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। ফলে দেলোয়ার ও সাইফুল মালেক সকল স্টাফদের বিনা বেতনে চাকরি করার সুযোগ করে দিচ্ছেন।

 

সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিক আহমদের ব্যক্তিগত সেল ফোনে কল দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য আদায় করা সম্ভব হয় নি।

শেয়ার করুন

আরো পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট